দিন দ্য ডে মুভিতে কত টাকা খরচ হয়েছে

অবশেষে ফাঁস হলো অনন্ত জলিলের `দিন দ্য ডে` মুভির আসল বাজেট। এই ছবির ডিরেক্টর মুর্তজা আতাস জামজাম, তিনি যে বাজেটের কথা উল্লেখ করেছেন তা শুনে যে কেউ সক্ট হয়ে যাবে।

তিনি আজকে তার ইনস্টাগ্রামে দিন দ্য ডে নিয়ে অনন্ত জলিলের সঙ্গে হওয়া চুক্তিপত্র প্রকাশ করেছিলেন এবং সেখানে তিনি বলেছিলেন এই ছবিটির বাজেট ছিল মাত্র 5 লাখ ডলার।
এবং সেই সময়ের ডলারের মূল্য অনুযায়ী ছবির বাজেট দাঁড়ায় বাংলা টাকায় ৪ কোটি টাকার একটু বেশি। মুর্তজা জানান চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল অনন্ত জলিল পুরো টাকাটাই বিনিয়োগ করবেন এবং বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি ছবির ৮৫ শতাংশ লভ্যাংশ নিবেন এবং পরিচালক হিসেবে তিনি পাবেন ১৫ শতাংশ।

মুর্তজা আরও জানায় যেখানে অনন্ত আমাদের ইরানি টিমের পুরো ৫ লাখ ডলার পরিশোধ ই করেনি সেখানে ছবির বাজেট ১০ মিলিয়ন ডলার হয় কিভাবে। তিনি আরো লিখে,

দুর্ভাগ্যবশত শুটিং শুরুর দিনগুলোতে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল অনন্তের সঙ্গে কাজ করা।

কিন্তু চুক্তির কারনে আমার ফিরে আসার কোনো পথ ছিলো না। আমি চাইনি আমার ওয়াদা ভঙ্গ হোক।
তিনি আরো লিখেন ক্রমাগত তাদের স্কিপ পরিবর্তনসহ তাদের মত পাল্টাতে শুরু করে, এর মধ্যে তিনি উল্লেখ করেন গল্পে নানারকম ইস্যুর পরিবর্তন হয় সুটিং এার স্থান পরিবর্তন করে আফগানিস্তান ও তুরস্কে নিয়ে যাওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে দন্ধ হয়।

মুর্তজা জানায় যেহেতু চলচ্চিত্রটির ৮৫ শতাংশ বাংলাদেশের তাই অনন্ত বলতেন বাংলাদেশর মানুষকে আমার চেয়ে ভালো কেউ জানেনা। সেই অজুহাতে প্রতিদিন সিনেমার স্কিপ্ট ও অভিনয় হস্তক্ষেপ করতেন অনন্ত।

তিনি আরো উল্লেখ্য করেন আনন্ত জলিল কারখানায় কাজের চাপ ব্যবসায়িক অজুহাতে সুটিংয়ে প্রাই সময় দেরি করতেন।

তিনি আরো উল্লেখ্য করেন অনন্তের খামখেয়ালির কারোনে ছবির বাজেট আরো বেরে যায়।
এছাড়া কারে অর্থই তিনি ঠিকঠাক মতো পরিশোধ করেননি।
এর প্রতিবাদে মুর্তজা কিছুদিন সুটিং বন্ধও রেখেছিলেন। পরবর্তিতে কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষীর সমজতায় আবার কাজ শুরু করেন এবং অনন্ত সমস্ত বকেয়া পরিশোধন করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

মুর্তজা আরো লিখেন অনন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের হায়দারাবাদে ২ দফা ডেকে নিয়ে বকেয়া ২ লাখ ডলারের পরিবর্তে মাএ ২৪ হাজার ডলার পরিশোধ করেন এবং বার বার অনন্তকে তাগাদা দিলেও অনন্তর করোনা ও ব্যবসায় লোকসান এসবের অজুহাত দেন বলে জানাম মুর্তজা।

এখন প্রশ্ন হলো মুর্তজা কেনো এতোদিন চুপ ছিলেন,
এই বিষয়ে মুর্তজা জানান অনন্ত বর্ষার বাসায় তিনি খাবার খেয়েছিলেন সেই কৃতজ্ঞতা থেকে তিনি চুপ ছিলেন।

ছবিটি মুক্তির আগের দিন তাদের দুজনের কাছে তিনও রিকোয়েস্ট করেছিলেন তাদের বকেয়া পরিশোধ করে দিতে। এমনকি তিনি এটাই বলেছেন আমার নামটাও আপনারা ছবির সব জায়গা থেকে বাদ দিয়ে দিন। কিন্তু অনন্ত সেই কাজ করেন নি।

সো ভিওয়ার অনন্ত নিজে যেখানে বলেছিল এই ছবির বাজেট ১০০ কোটি ১০০ কোটি ১০০ কোটি সেখানে ডিরেক্টর বলছে এই ছবির বাজেট ৪ কোটি টাকা মাএ।

সো এই বিষয়ে এখন জেনে আপনি কি ভাবছেন কমেন্ট বক্স এ লিখে জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *